মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞানভীতি
প্রতিবেদক টুয়েন্টিফোর নিউজ মোবাই
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার
রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ে এ বছর
একাদশ শ্রেণির ২৯১ জনের মধ্যে
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী
মাত্র একজন। আর ২৫৯ জন এইচএসসি
পরীক্ষার্থীর বিপরীতে বিজ্ঞান
থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে মাত্র চারজন।
গেল এক যুগে এ সংখ্যাটা কখনো দুই
অঙ্ক অতিক্রম করেনি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শুধু
রাবেয়া মহাবিদ্যালয় নয়,
উপজেলাটিতে উচ্চমাধ্যমিক ও
স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে
বিজ্ঞান-ভীতি পেয়ে বসেছে।
পাঁচটি কলেজের প্রায় পাঁচ হাজার
শিক্ষার্থীর বিপরীতে বিজ্ঞানে
একাদশে ৮০ আর স্নাতকে ১৩ জন
শিক্ষার্থী আছে।
জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ
শ্রীমন্ত লাল পাল বলেন, বিজ্ঞান
মানে কঠিন। পাস করা যাবে না।
আবার টাকাপয়সা লাগে বেশি। এ
রকম নানা ধারণা থেকে শিক্ষার্থী
এবং অভিভাবকেরা বিজ্ঞানবিমুখ
হয়ে পড়ছেন। আর ভীতির জন্ম স্কুল
পর্যায় থেকে।
তবে ভিন্ন কথা বললেন প্রতিষ্ঠানের
পরিচালনা পর্ষদ সদস্য শাহ আলম হুদা।
তাঁর মতে, বিজ্ঞানের শিক্ষকদের
আন্তরিকতার অভাব প্রমাণিত।
বিজ্ঞান নিয়ে পড়লে শিক্ষকদের
কাছ থেকে ভালো সহযোগিতা
পাওয়া যাবে না—এমন ধারণা
সর্বনাশ ডেকে এনেছে।
১৬ এপ্রিল কলেজগুলোতে গিয়ে কথা
হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
তার মধ্যে পোড়াদিয়া ওয়াসিম
উদ্দিন খান ডিগ্রি কলেজ একটি।
কলেজটির মোট শিক্ষার্থী ৮৩৬। এর
মধ্যে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞানের
শিক্ষার্থী ছয়জন ও দ্বাদশ শ্রেণিতে
সাতজন। স্নাতকে তিন বর্ষ মিলিয়ে
১৩ জন। প্রয়োজনীয় শিক্ষক ও
বিজ্ঞানাগার থাকার পরও
বিজ্ঞান থেকে শিক্ষার্থীদের মুখ
ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ জানতে
চাইলে অধ্যক্ষ আতাউর রহমান ভূঁইয়া
‘সৃজনশীল ভীতি’র কথা বলেন। তবে
শিক্ষার্থীরা বলছে, উপজেলাটির
অর্থনীতি সবজিনির্ভর। পড়াশোনার
ব্যয় মেটানোর মতো টাকা আছে। অন্য
অঞ্চলের মতো এখানকার ভালো
শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিজ্ঞানের
আগ্রহ রয়েছে। তবে মানসম্মত শিক্ষক ও
তাঁদের আন্তরিকতার অভাবের কথা
জেনে আগ্রহে ভাটা পড়ে।
বারৈচা ডিগ্রি কলেজে একাদশ
শ্রেণিতে বিজ্ঞান চালু থাকলেও
স্নাতকে নেই। একাদশ ও দ্বাদশ—দুই
বর্ষের ৭০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে
বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছে মাত্র ১৯ জন।
কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন
বলেন, ‘আমার ধারণা, এ ক্ষেত্রে
মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে।
Created at 2015-05-03
Back to posts
UNDER MAINTENANCE