দুই অধিনায়কের দুরকম রাত
একজন ওয়ানডেতে জয়ের
‘সেঞ্চুরি’ করে ফেললেন।
আরেকজনের জুটল এই বিশ্বকাপে
দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়। সেই
ক্ষতে নুন ছিটাতে আবার এক
ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
প্রথমজন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
দ্বিতীয়জন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
দুই অধিনায়কের জন্য কী বিপরীত
চিত্রনাট্যই না লিখে রেখেছিল
এমসিজির এই রাত!
তবে ম্যাচ-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে
একটা জায়গায় মিলে গেলেন
দুজন। একটি মাত্র উইকেটই বদলে
দিতে পারত এই ম্যাচের রং—একটু
আগে মাশরাফির বলে যাওয়া
কথাটারই যেন প্রতিধ্বনি করলেন
ধোনিও। ২৮ ওভার শেষে ৩
উইকেটে ১১৫ রানে যখন ধুঁকছে
ভারত, দ্রুত আরেকটি উইকেট তুলে
নিলে এই বিশ্বকাপে ভারতের
সাতে সাত হতো কি না সন্দেহ।
উল্টো রোহিত শর্মা ও সুরেশ
রায়নার ১২২ রানের জুটি। আলিম
দারের ইশারায় ইয়ান গোল্ড ওই
বিতর্কিত নো বল না ডাকলে ৪১
রান কম হয় ওই জুটিতে। ধোনির
আশঙ্কা তখন সত্যি হয়েও যেতে
পারত। ভারতীয় অধিনায়ক যে তখন
২৬০ রানকেই অনেক ভাবতে শুরু
করেছিলেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে
স্লো ওভাররেটের শাস্তি শুধু
জরিমানাতেই শেষ হলেও তা
মাশরাফির মাথার ওপর একটি খড়্গ
ঝুলিয়ে রেখেছিল। আরেকটি
ম্যাচে এমন হলেই নিষেধাজ্ঞা।
পাছে কোয়ার্টার ফাইনাল মিস
করে ফেলেন, এ কারণেই
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে
খেলেননি। কাল সেই ‘অপরাধের’
পুনরাবৃত্তি হওয়ায় জরিমানার
সঙ্গে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধও
হলেন। নির্ধারিত সময়ে ২ ওভার কম
করার পেছনে কোনো ‘অজুহাত’
দেখানোরও সুযোগ ছিল না বলে
মাশরাফি বিনাবাক্যে তা
মেনে নিয়েছেন। ম্যাচ রেফারি
রোশান মহানামাকে তাই আর
শুনানির ঝামেলায় যেতে হয়নি।
বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৬৯ রান,
প্রশ্নবিদ্ধ অধিনায়কত্ব, দলের বড়
পরাজয় এবং শেষে এই শাস্তি—সব
মিলিয়ে মাশরাফির
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ম্যাচটি দুঃস্বপ্নের রূপ পেল।
ভারতের বিপক্ষে
বাংলাদেশের তিনটি জয়ের
দুটিতেই ম্যাচসেরার পুরস্কার
উঠেছে তাঁর হাতে। এই ম্যাচটা
মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখিয়ে
দিল মাশরাফিকে।
ভারতের বিপক্ষে খেলা হলে
অদৃশ্য আরও অনেক প্রতিপক্ষের
সঙ্গে লড়তে হয়—এমন একটা ভয়
বাংলাদেশ দলে আগে থেকেই
ছিল। বিতর্কিত আম্পায়ারিং
সেটিকে সত্যি বলে দাবি করার
সুযোগও করে দিচ্ছে। তবে তাতে
এই সত্যিটাকে আড়াল করা যাচ্ছে
না যে, এই ম্যাচের প্রথম ৩০
ওভারের পর থেকে বাংলাদেশ
Created at 2015-03-19 16:33:06
Back to posts
UNDER MAINTENANCE